আজ শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আদিতমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আমদানীকৃত চালের পরিবর্তে লোকাল চাল বিতরণ!

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে খাদ্য গুদামে আমদানীকৃত চালের পরিবর্তে ডিলারদের লোকাল চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

জানাগেছে, আদিতমারী উপজলোর ৮টি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূিচতে ২৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ১১ হাজার ১৫২টি কার্ডধারীদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল হতদরদ্রি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। আর সেই চাল ডিলারদের দেওয়া হয় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে। কিন্তু উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা খাদ্য গুদামে আমদানীকৃত চালের পরিবর্তে লোকাল চাল ডিলারদের দিয়েছেন।

এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে সোমবার সরেজমিন উপজলোর পলাশী ইউনিয়নের ডিলার এরশাদ হোসেন ভরসার গোডাউনে গিয়ে দেখোগছে, সেখানে আমদানীকৃত কোন চাল বিক্রয়ের জন্য দেয়া হয়নি। সেখানে হতদরিদ্ররের মাঝে নি¤œমানের লোকাল চাল বিতরণ করা হচ্ছ। আবার এসব চাল অনেককেই বাধ্য হয়ে নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিলার ভরসা জানান, গোডাউন থেকে অনেকটা জোরর্পূবক এসব চাল দেয়া হয়েছে। আর আমরা তাই বিক্রয় করছি।
একই দৃশ্য দেখা যায়, পলাশী ইউনিয়নের আরেক ডিলার শফিকুল ইসলামের গোডাউনে। সেখানে লোকাল চালের পাশাপাশি আমদানীকৃত কয়েকটি চালের বস্তা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শফিকুল জানান, জোরপূর্বক এসব চাল ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আমাকে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) কাণিজ ফাতেমার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ‘‘আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। আপনারা যা শুনেছেন ভুল শুনেছেন। আমরা ডিলারদের আমদানীকৃত চাল দিয়েছি। এর পরিবর্তে কোন লোকাল চাল বিতরণ করি নাই’’।

এ বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামসুল আলম জানান, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যদি এ রকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে’’।